মো. মিজানুর রহমান (মিজান), চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাঁকে সমর্থন করেছেন বিজেপির বিধায়ক নীতেশ রানের মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রতিবাদে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ অক্টোবর শুক্রবার বাদ জুম’আ উপজেলার গ্রামীণ শহর রানীরবন্দরে বিভিন্ন মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয় এবং প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুইহারীবাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে। রানীরবন্দরে উলামা-মাশায়েকদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আলেম-উলামা ও স্থানীয় মুসল্লিরা অংশ গ্রহণ করেন।
সমাবেশে ক্বারী আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. নূর-এ-আলম সিদ্দিকী নয়ন, মাও. আবুল কালাম আজাদ, মাও. মোকাররম হোসেন, মাও. রবিউল ইসলাম, ডা. জাকির হোসেন, আজিজুল হক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। সভাটি পরিচালনা করেন উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়ন ওলামা-মাশায়েক পরিষদের সভাপতি নুর মোহাম্মদ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত আগস্ট মাসে রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেন ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ। তাঁকে সমর্থন করেছেন বিজেপি’র বিধায়ক নীতেশ রানে। এ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও এখনও রাজ্য সরকার তাঁদের গ্রেফতার করেনি। এর প্রতিবাদে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্রের মুসলিম-জনতা। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অপমান মুসলমানেরা মেনে নেবে না। বিগত দিনেও আমরা মেনে নেইনি ভবিষ্যতেও মেনে নেয়া হবে না। বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ঘটলেই ভারত থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নেই। অথচ ভারতেই সংখ্যালঘু কোনো জাতি নিরাপদভাবে বসবাস করতে পারে না। কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা যাবে না এবং ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দিতে হবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অপমানকারী ও কটূক্তিকারীদের চরম মূল্য দিতে হবে। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।