নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আহত আব্দুর রশিদের চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে
লাভ শেয়ার বিডি ইউএস পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসন কনফারেন্স রুমে জাগ্রত তেঁতুলিয়ার আয়োজনে এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে জাগ্রত তেঁতুলিয়ার সমন্বয়ক মো.ফিরদৌস আলম লিটনের সভাপত্তিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বি নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তেতুলিয়া উপজেলা শাখার সমন্বয়ক হযরত আলী,ওবায়দুল হক,উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু সালেহ ইব্রাহিম ইমরান,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সবুজ আল পায়েল,জাগ্রত তেঁতুলিয়া সংগঠনের সদস্য তহিদুল হক,মোবারক হোসেন,মাসুদ রানা,আহসান হাবীবসহ আরোও অনেকে।
উল্লেখ্য,গত ৪ আগষ্ট দিনাজপুরে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন আব্দুর রশিদ। তার বক্তব্য অনুযায়ী, হাসপাতালের গেটে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি৷ পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজনের সহায়তায় চিকিৎসা করা হয় তার, কোনরকমে প্রাণে বেচে ফেরেন তিনি। অর্থাভাব ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর বাচ্চা প্রসবের সময় যখন প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে ঠিক তখনই ধীরে ধীরে তার শারীরীক অবস্থান অবনতি বাড়তে থাকে। ৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি এবং সেখানে পরদিন শুক্রবার তার অপারেশন হয়। অপরদিকে তার পরদিন (শনিবার) রাজবাড়ী এলাকার বাড়ীতে আব্দুস রশিদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম নীরবে নির্ভৃতে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন৷এসময় তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বা বৈধ পরিচয় সম্পর্কিত কোন ধরনের কাগজপত্র না থাকায় এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় তার চিকিৎসা৷ জটিল এবং মর্মান্তিক এই পরিস্থিতিতে অসহায় গরীব এই দিনমজুরের স্ত্রী স্বামীর জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাধ্য হয়ে রংপুরের এক দম্পতির কাছে মাত্র ২৫ হাজার টাকায় শিশুকে বিক্রি করে দেন৷ সেই টাকায় আবার শুরু হয় চিকিৎসা শুরু হলেও আবারো বৈধ পরিচয়হীনতার জটিলায় বন্ধ হয়ে যায় তার চিকিৎসা। ঘটনাটি জানাজানি হলে, দ্রুততার সাথে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিক্রি করে দেয়া সন্তান ফেরত পেয়েছেন আব্দুর রশিদের স্ত্রী।