আনিছুর রহমান মানিক, স্টাফ রিপোর্টার>>
হিন্দু সম্প্রায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজা, নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ১শত ৫টি পুজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরী কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে শিল্পীরা।
শারদীয় দুর্গোৎসবে বর্ণিল উৎসবের প্রস্তুতি চলছে মন্ডপে মন্ডপে। প্রতিমার সাজসজ্জার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন দেওয়া হচ্ছে শেষ মুহূর্তের রং-তুলির আঁচড়। পূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা।
আগামী ৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে শারদীয় দুর্গোৎসবের কাজ শুরু হবে। ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে প্রতিমা আসনে অধিষ্ঠিত হবেন। এরপর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী পূজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। প্রতিবারের মত এবারও শারদীয় দুর্গোৎসব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দুর্গাদেবীর কাছে প্রার্থনা করছেন।
এবার ১শত ৫টি মন্ডপে পুজা অচনা চলবে, কাঁদা মাটি ও সাজসজ্জার কাজ প্রায় শেষের পথে। কিছু কিছু মন্ডপে চলছে রং-তুলির আঁচড়।
এবার দেবীর দোলায় আগমন এবং ঘোটকে গমন করবে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। চলছে মাটির কাজ, রঙের কাজ। পুজাকে সামনে রেখে নতুন কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের তেমনভীড় নেই বলেই চলে।
ডোমার পৌর এলাকার ১০টি মন্ডপের মধ্যে কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দির, নিউ মিলন সংঘ, চাকধাপাড়া পুজা মন্দির, সন্যাসী মন্দির উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে জমকালো আয়োজনে পুজা উৎযাপন করে। তবে এবার দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পুজা সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আনসারের পাশাপাশী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ জানান।
অপরদিকে রাজনৈতিক দলীয় নেতাকর্মী পুজা সম্পন্ন করতে ব্যপক ভুমিকা রাখবে। পূজা মন্ডপগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সাম্প্রদায়িক ও সম্পতি বজায় রেখে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পুজা সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন সনাতন ধর্মীয় নেতারা।
