মোরশেদ মন্ডল, সাপাহার, (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহারে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সৃষ্ট দু’ দফা মারপিটের ঘটনায় নারী সহ ৩ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, গত ১৩ ই ডিসেম্বর সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার কোঁচকুড়লিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিনের বাড়ির সামনের কাঁচা রাস্তা বন্ধ করে সেখানে বিবাদীগণ তাদের ট্রাক্টর রেখে দৌত করতে থাকে। এসময় রুহুল আমীনের বড় ভাই সাজেদুল বাধা দিতে গেলে বিবাদী ওই গ্রামের বাসিন্দা তাইজুদ্দিন (৫০) পিতা-মৃত মফিজ উদ্দিন, তার স্ত্রী ঝর্না বেগম (৪০) দুই ছেলে মোতাজ্জিম (২২) ও লাবিব (১৮) মিলে সাজেদুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মাথা কেটে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। সাজেদুলের ডাক চিৎকারে ঘটনাস্থলে বড় বোন মোসাঃ মোকসেদা বেগম ছুটে গেলে বিবাদীগণ তাকেও একই ভাবে মাথায় আঘাত করে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে ঘটনাস্থলে ফেলে রাখে।
বিবাদী তাইজুদ্দিন, ঝর্না, মোতাজ্জিম, লাবিব গং লাঠি ও লোহার রড, কোদালের বাট দিয়ে দুই ভাই বোনকে এলোপাতাড়ী মারধর করে এতে তার বড় বোনের হাতের কব্জি ভাঙ্গে যায়। পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদের উদ্ধারে গেলে বিবাদীগণ তাদের কেও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। আহতরা বর্তমানে সাপাহার সাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে উল্লেখিত ঘটনায় বিবাদীগনের বিরুদ্ধে ওই দিন স্থানীয় থানায় ছোট ভাই রুহুল আমিন বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করলে থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এতে বিবাদীগন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন ১৪ ডিসেম্বর সকালে অভিযোগকারী রুহুল আমীনের পথ রোধ করে রাস্তা থেকে টেনে হেচড়ে আমবাগানে নিয়ে হত্যার উদ্যেশে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে মুমুর্ষ অবস্থায় ফেলে রাখে।
স্থানীয় লোকজন রুহুল আমিনকে রক্তাক্ত ও মৃত প্রায় অবস্থায় উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে স্থানীয থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।