নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় সকাল ১১টা ও বোদা উপজেলায় বিকেল ৪ টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ডাক দিয়ে বিজয় র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীতে, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মের প্রতীকিই হচ্ছে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ। র্যালীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতীকী, শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতীকী ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতীকী নিয়ে র্যালীটি অনুষ্ঠিত হয়।
রেলী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আলহাজ্ব ফরহাদ হোসেন আজাদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যতম উদাহরণ। সাম্প্রতিককালে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠলেও প্রকৃত পক্ষে এটি দু-দিক থেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কেউ যদি সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করে থাকে তা যেমন সুযোগ সন্ধানী রাজনীতিকদের নোংরামীর ফল, তেমনি যারা এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় করছে সেটাও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কৌশল। কারণ এদেশের সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতায় এমন আচরণ অনুপস্থিত।
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলেও দেখা যায়, এদেশের বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছে। ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন থেকে ভাষা আন্দোলন এবং সর্বশেষ স্বাধীনতা আন্দোলনেও এদেশের মানুষ ধর্মীয় বাদ-বিচারের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় চেতনা নিয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে লড়েছে।
বাংলার আনাচে-কানাচে পাশাপাশি বাড়িতে হিন্দু- মুসলিম-খ্রিষ্টান বসবাস করছে, প্রতিনিয়ত তাদের পারস্পরিক লেনদেন হচ্ছে। সমমর্যাদা আর অধিকার নিয়ে এখানে সব ধর্মের মানুষ তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন পরিচালনা করছে।
এই বিজয়ের আনন্দের দিনে গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি আত্মদানকারী সেই শহীদদের।আজ পরম শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় পুরো জাতি স্মরণ করছে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী লাখো শহীদদের। যাদের জীবন উৎসর্গে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। রেলী ও আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী উপস্থিতি ছিলেন।