রণজিৎ সরকার রাজ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: কে এই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী এবং আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন, জুয়ারু তোফাজ্জল হোসেন রাজা ওরফে অবৈধ বালুঘাট ইজারাদার তোফাজ্জল হোসেন? এদের খুঁটির জোর কোথায়, জানতে চায় জাতি?
রাজনৈতিক দর্শন থেকে এরা দুজনেই খাঁটি আওয়ামী পরিবারের সদস্য হলেও ফজলে এলাহী বীরগঞ্জের ইউএনও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তোফাজ্জল হোসেন ব্যবসায়ী হিসেবে কাগজে-কলমে থাকলেও প্রকৃত পক্ষে নানান অবৈধ কাজের সাথে জড়িত।
মেলার নামে জুয়া বসিয়ে জনগণকে সর্বস্বান্ত করা এবং দলীয় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধভাবে বালুরঘাট চালিয়ে শিশু হত্যা করাসহ সরকারি সম্পদ কোটি কোটি টাকা মূল্যের আশ্রয়ন প্রকল্প ধ্বংসের মূল হোতা নির্বাহী অফিসার ও কথিত ইজারাদার তোফাজ্জল হোসেন।
ইতোপূর্বে মেলার নামে জুয়া বসিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি, নিয়ম বহির্ভূত নদীর খনন করা বালু ইজারা নিয়ে অবৈধভাবে ড্রেজার, ড্রাম্প ট্রাক, ভেকু দিয়ে নদী গর্ভের বালু উত্তোলন বিক্রি ও পাচার অব্যাহত রেখেছে।
কিছুদিন পূর্বে পাল্টাপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত অলোক রায়ের নাতি ৯ বছরের শিশু সুমন রায় ভেকুর আঘাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার ঘটনায় বীরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
শিশু নিহতের ঘটনায় লোক দেখানো নামমাত্র কয়েক দিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও তোফাজ্জল হোসেন রাজা পানি উন্নয়ন বোর্ড, দিনাজপুর এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী কে মোটা অংকের টাকার বিনিময় ম্যানেজ করে আবারো দিবারাত্রি অবৈধ বালু উত্তোলন বিক্রি ও পাচার অব্যাহত রেখেছে।
সম্প্রতি তোফাজ্জল হোসেন বীরগঞ্জের ঢেপা নদী ভরাট করে গতিপথে বাধা সৃষ্টি, ঐতিহ্যবাহী শালবনের ভিতর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে বালু পরিবহনের পরিকল্পনা গ্রহণ করার ঘটনায় বাধা প্রদান করলে বন বিভাগের প্রহরী কে গালমন্দ করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ২৫ ডিসেম্বর’২০২৪ বিকালে সুজালপুরের ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম বাবু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অফিসিয়াল রিপোর্ট দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।