আনিছুর রহমান মানিক, স্টাফ রিপোর্টার>>
নীলফামারীর ডোমারে শতবর্ষী নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ডোমার নাট্য সমিতি আয়োজিত নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে লোক সাংস্কৃতিক উৎসব এবং ৭জন গুণীশিল্পী ও সংগঠককে মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।
দিবসটি পালনে সোমবার সকাল ১০টায় শহীদ-ধিরাজ ও মিজান স্মৃতি পাঠাগারের সামনে থেকে জাতীয় সংগীত ও বৈশাখের গান পরিবেশনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রাণের উৎসবে মেতে উঠেছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা, পৌর এলাকার সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডোমার শিল্পকলা একাডেমী ভবনের উন্মুক্ত মঞ্চে চলে শুভেচ্ছা বিনিময়,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা।
এদিন বিকালে ডোমার নাট্য সমিতি মিলনায়তনে লোক সাংস্কৃতিক উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) নিয়াজ মেহেদী।
সাংগঠক মিজানুর রহমান সোহাগ এর সঞ্চালনায় নাট্য সমিতি আহবায়ক মাসুদ বিন আমিন সুমনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারী, ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন।
পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে নাট্য সমিতির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশেষ অবদান রেখেছেন যারা প্রয়াত ৭জন গুণীশিল্পী ও সংগঠককে মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম লুৎফল হক, ভাষা সৈনিক মরহুম গোলাম রব্বানী বুলবুল, মরহুম সাদামদ্দীম আহমেদ, স্বর্গীয় কেশব চন্দ্র সাহা, মরহুম আমিনুল ইসলাম বড়দা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গোলাম মোস্তফা বাউলা, স্বর্গীয় বাবলু চন্দ। অতিথিগণ তাদের পরিবারের লোকজনের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।