আনিছুর রহমান মানিক, স্টাফ রিপোর্টার>>
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ীতে পুর্ব শত্রæতার জের ধরে প্রতিবেশীর নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধু গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে হাসপালে। এ বিষয়ে ভুক্তভুগির পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব বোড়াগাড়ী হাসপাতাল পাড়া এলাকার আমির আলী ছেলে সাবেক নৌবাহিনীর কর্মচারী রুহুল আমিন জুয়েল অবসরে যাওয়ার পরে উক্ত এলাকায় নতুন বসতবাড়ী করতে থাকে। সেই থেকে প্রতিবেশী গনেশের ছেলে শুকুমার ও তার পরিবার জুয়েলদের সাথে কারণে অকারণে শত্রæতার জের ধরে ঝগড়া বিবাদ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ২৮ এপ্রিল বিকালে শুকুমারের বাড়ীর ময়লা ও নোংরা পানী জুয়েলের বাড়ীতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে শুকুমার ও তার ছেলে হৃদয়, মোহন মিলে অসুস্থ্য জুয়েলকে মারধর করতে থাকে।
জুয়েলের স্ত্রী মাসুদা বিলকিস স্বামীকে বাচাঁতে এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষরা মাসুদাকে বেধরক মারপিট করে। তাদের আঘাতে মাসুদা গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রæত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে করা হয়। এ সময় বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শুকুমার, হৃদয় ও মোহন জুয়েলের বাড়ীতে প্রবেশ করে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে জানালার থাইগøাস সব ভেঙ্গে ফেলে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাসুদা বিলকিস ২দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ীতে আসার পর রুহুল আমিন জুয়েল গত ৩০ এপ্রিল ডোমার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
জুয়েল জানান, শুকুমার একজন মাদকসেবী গত বছর ব্র্যাকের এক কর্মী তাদের বাড়ীতে কিস্তির টাকা তুলতে গেলে শুকুমার তাকে লাঠিদিয়ে মেরে হাত ভেঙ্গে দেয়। ব্র্যাক কর্মী থানায় মামলা করলে শুকুমার প্রায় ১মাস জেল হাজতে থেকে জামিনে মুক্ত হয় এবং সেই থেকে বেশী করে বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাদের অত্যাচারে আমার মানবেতর জীবন যাপন করছি।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সঠিক তদন্ত করে সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান নির্যাতনের শিকার ভুক্তভুগি রুহুল আমিন জুয়েল।