আনিছুর রহমান মানিক, স্টাফ রিপোর্টার>> নীলফামারী ডোমার চিলাহাটিতে গৃহবধু বিউটি বেগমের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তার মৃত্যুটি হত্যা নাকি আত্নহত্যা এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশান দেখা দিয়েছে ।
মামলা সুত্রে জানাযায়, উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের আজিমুল ইসলামের কন্যা বিউটি বেগমের সাথে এলাকার সাতঘরিয়া গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে রেজওয়ান কবির নাসিরের বিগত ৪ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের এক বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। পরিবার সুত্রে জানাযায় প্রায় সময় তাদের ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। যার কারনে বিউটির স্বামী নাসির তার উপর শারিরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ নভেম্বর রাতে তার নিজ বাড়ী থেকে বিউটি বেগমের লাশ উদ্ধার করে ডোমার থানা পুলিশ।
বিউটির বাবার বাড়ীর লোকজনের দাবী যৌতুকের কারণে বিউটিকে মারধরের ঘটনায় স্বাসরুদ্ধ করে হত্যার করেছে তার স্বামী নাসির। এবিষয়ে বিউটির ভাই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ডোমার থানায় মামলা দায়ের করে। এরই পরিপেক্ষিতে ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় চিলাহাটি এলাকা থেকে বিউটির স্বামী নাসিরকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করে থানা পুলিশ। বিউটির শাশুরী আকলিমা বেগম বলেন, সন্দেহের কারণে প্রায় সময় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। ঔ দিন রাতে তাদের ঝগড়া বিবাদ হয়। যার কারনে অভিমান করে বিউটি গালায় ওড়না পেচিয়ে নিজ ঘড়ে আত্নহত্যা করেছে।
বিউটির ভাই শরিফুল ইসলামের দাবী তার বোনকে মারধরের পর স্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। আবার অন্যদিকে শশুরবাড়ী লোকজন বলেন নিজেই আতœহত্যা করেছে, এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে আসল রহস্য উৎঘাটন হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সঠিক তদন্ত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবী জানান নিহিত বিউটি বেগমের পিতা আজিমুল ইসলাম।